বিলুপ্ত মোয়া পাখির পুনরুজ্জীবনে বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি: এক নতুন দিগন্ত

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

বিলুপ্ত মোয়া পাখিকে ফিরিয়ে আনার এক যুগান্তকারী প্রকল্প শুরু হয়েছে, যেখানে বিজ্ঞান এবং ঐতিহ্য মিলিত হয়েছে । কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এবং নিউজিল্যান্ডের Ngāi Tahu গবেষণা কেন্দ্র এই প্রকল্পে একসাথে কাজ করছে ।

মোয়া ছিল বিশাল, উড়তে অক্ষম পাখি, যা প্রায় ৬০০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল । বিজ্ঞানীরা মোয়ার ডিএনএ পুনরুদ্ধার করে এবং জীবিত পাখির সাথে তুলনা করে এর জিনোম পুনর্গঠন করতে চান ।

এই প্রকল্পে চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যার পিটার জ্যাকসন ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন । Ngāi Tahu গবেষণা কেন্দ্র এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করবে, যা মাওরি মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হবে ।

মোয়া পাখির পুনরুজ্জীবন শুধু একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নয়, এটি জীবনের প্রতিচ্ছবি । বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ।

এই প্রকল্পে পশ্চিমা বিজ্ঞান এবং মাওরি জ্ঞানের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । অধ্যাপক মাইক স্টিভেন্স মাওরি জ্ঞান ও জিন প্রকৌশলের সমন্বয়ের উপর জোর দিয়েছেন ।

বিজ্ঞানীরা মোয়ার দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ বের করে জিনোম পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা করছেন । তারা এই জিনোমকে জীবিত পাখি যেমন এমু ও টিনামুর সাথে তুলনা করবেন ।

এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে কিছু বিজ্ঞানী সন্দিহান, তবে কলোসাল বায়োসায়েন্সেস আশাবাদী যে তারা বিলুপ্ত প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনতে পারবে ।

গবেষণায় দেখা গেছে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতিদের পুনরায় ফিরিয়ে আনলে বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেতে পারে ।

মোয়া পাখির পুনরুত্থান একটি নতুন ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যেখানে বিজ্ঞান ও ঐতিহ্য একত্রিত হয়ে কাজ করবে ।

উৎসসমূহ

  • Australian Broadcasting Corporation

  • The Jerusalem Post

  • RNZ News

  • Colossal Biosciences

  • The Jerusalem Post

  • PR Newswire

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।