বিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে প্যানজিয়া আলটিমা নিয়ে গবেষণা করছেন, যা প্রায় ২৫০ মিলিয়ন বছর পর গঠিত হতে যাওয়া একটি ভবিষ্যতের মহাদেশ। এই ঘটনাটি পৃথিবীর সুপারমহাদেশ চক্রের অংশ, যেখানে ভূমি একত্রিত হয়, স্থিতিশীল থাকে এবং তারপর ৩০০-৫০০ মিলিয়ন বছর ধরে ভেঙে যায়। ২০২৫-২০২৯ সালের জন্য সাম্প্রতিক জলবায়ু পূর্বাভাসে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে প্রাক-শিল্প স্তরের উপরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু প্রভাবগুলি বোঝার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
প্যাঞ্জিয়া আলটিমার গঠন চরম জলবায়ু পরিস্থিতির দিকে পরিচালিত করতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় যে মহাদেশগুলির একত্রীকরণ আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং সূর্যের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে, যার ফলে তাপমাত্রা বাড়বে। সুপারমহাদেশের অভ্যন্তরীণ অঞ্চলগুলিতে গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে, যা এটিকে বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণীর জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে। কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি এবং উপকূলরেখা হ্রাস এই পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
প্যাঞ্জিয়া আলটিমার সঠিক গঠন এখনও অনিশ্চিত, বিজ্ঞানীরা এর প্রভাবের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য জলবায়ু মডেল ব্যবহার করছেন। এই মডেলগুলি পৃথিবীর জীবনের উপর সম্ভাব্য পরিণতিগুলি বোঝার জন্য মহাদেশীয়তা, সৌর বিকিরণ এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রার মতো বিষয়গুলি বিবেচনা করে। চলমান গবেষণার লক্ষ্য হল আমাদের গ্রহের দীর্ঘমেয়াদী বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা, যা সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বোঝার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যা বড় ধরনের বিলুপ্তির ঘটনা ঘটাতে পারে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পূর্বাভাস দিয়েছে যে আগামী বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা সম্ভবত রেকর্ড স্তরে বা তার কাছাকাছি থাকবে, যা জলবায়ু গবেষণার জরুরি অবস্থাকে আরও জোরদার করে।