বাবা-মেয়ের বন্ধন বাবুনদের জীবনকাল বৃদ্ধি করে

নতুন গবেষণা বাবুন (এক প্রকারের বানর) স্ত্রীজাতির জীবনকালের উপর পিতা ও কন্যার সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব প্রকাশ করে। 'রয়েল সোসাইটি বি'-এর কার্যবিবরণীতে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, পিতার যত্ন, এমনকি সূক্ষ্ম আকারেও, কীভাবে সন্তানদের জীবনকাল বাড়াতে পারে। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এই গবেষণায় পূর্ব আফ্রিকার আম্বোসেলি ইকোসিস্টেম পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা দেখেছে, দৃঢ় পিতা-কন্যা বন্ধন স্ত্রী বাবুনদের দীর্ঘ জীবনের সাথে সম্পর্কিত। এই গবেষণা পিতৃসুলভ যত্নের বিবর্তনীয় শিকড় সম্পর্কে ধারণা দেয়। গবেষকরা ২১৬ জন স্ত্রী বাবুন এবং তাদের পিতাদের পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা আবিষ্কার করেছেন, যে কন্যাশিশুরা তাদের পিতার সাথে তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে একত্রে বসবাস করেছে, তারা দুই থেকে চার বছর বেশি বেঁচে ছিল। এটি প্রমাণ করে যে পিতার উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা প্রদান করে। গবেষণায় সামাজিক বন্ধনের একটি পরিমাপ হিসেবে grooming-এর অভ্যাসও মূল্যায়ন করা হয়েছে। পিতা ও কন্যার মধ্যে শক্তিশালী grooming সম্পর্ক বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এটি বাবুন সমাজে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার গুরুত্ব নির্দেশ করে। নটর ডেমের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক এলিজাবেথ আর্চি উল্লেখ করেছেন যে, পুরুষ বাবুনরা প্রায়শই জীবনের শেষ দিকে 'বাবা মোড'-এ প্রবেশ করে। এর ফলে তারা তাদের সন্তানদের উপর আরও বেশি সময় দিতে পারে। পিতারা তাদের কন্যাদের জন্য একটি সুরক্ষা অঞ্চল তৈরি করতে পারে। ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া আম্বোসেলি বাবুন গবেষণা প্রকল্পটি এই গবেষণার জন্য তথ্য সরবরাহ করেছে। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী দীর্ঘতম সময় ধরে চলমান প্রাইমেট গবেষণাগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (NSF) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ (NIH) দ্বারা অর্থায়িত।