কেনিয়ার দুই শিক্ষার্থী ইউরি নজাতি এবং লর্না মুগাম্বি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করছেন। তাঁদের গবেষণা কেনিয়ার বিপন্ন প্রজাতি গ্র্যাভি জেব্রার উপর কেন্দ্র করে।
২০২৩ সালে লিড্স বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের কাজ উপস্থাপিত হয়। তাঁরা ক্যামেরা ট্র্যাপ ডেটা বিশ্লেষণ করতে মেশিন লার্নিং ব্যবহার করেন, যা প্রায় ৩০,০০০ ছবি পর্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রক্রিয়া করতে পারে।
নজাতি এবং মুগাম্বির এই প্রচেষ্টা জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি পদক্ষেপ। তাঁদের কাজ জেব্রা সনাক্তকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর বাস্তুতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি, যা প্রজাতি এবং পরিবেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগকে তুলে ধরে।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সংরক্ষণ এলাকায়, প্রতি গ্র্যাভি জেব্রার জন্য সাধারণত তিনটি সমতল জেব্রা বিদ্যমান।
নজাতি এবং মুগাম্বির এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের একটি উদাহরণ, যা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রিত হতে পারে।
তাঁদের কাজ প্রমাণ করে যে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেবল প্রজাতির টিকে থাকার বিষয় নয়, বরং এটি একটি আরও সুসংহত এবং টেকসই ভবিষ্যতের প্রচারের সুযোগ, যেখানে মানবতা এবং প্রকৃতি ভারসাম্যপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে।
নজাতি এবং মুগাম্বির গবেষণা গ্র্যাভি জেব্রা রক্ষার জন্য বৃহত্তর উদ্যোগের একটি অংশ, যা গত কয়েক দশকে জনসংখ্যার হ্রাস দেখেছে। গ্র্যাভি’স জেব্রা ট্রাস্টের মতে, গ্র্যাভি জেব্রার জনসংখ্যা গত ৩০ বছরে ৭৫% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে। এআই জনসংখ্যা নিরীক্ষণ, হুমকির কারণ সনাক্তকরণ এবং সুরক্ষা কৌশল বাস্তবায়নে নতুন সম্ভাবনা সরবরাহ করে।
এআই গবেষকদের দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে ডেটা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম করে, যা তাদের অবগত সিদ্ধান্ত নিতে এবং প্রয়োজনে সময় মতো হস্তক্ষেপ করতে সহায়তা করে।
কেনিয়ার এই শিক্ষার্থীদের গৃহীত পদ্ধতিটি একটি উদাহরণ যে কীভাবে প্রযুক্তিকে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।