মধ্যপ্রদেশ বাফার জোনে বাঘ সংরক্ষণের জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে

সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova

মধ্যপ্রদেশ বাফার জোনে বাঘ সংরক্ষণের জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে। এই সিদ্ধান্তটি সংরক্ষিত অঞ্চলের বাইরে বাঘের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মোকাবেলা করে।

মধ্যপ্রদেশে ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ৫২৬ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৭৮৫ হয়েছে। বাঘের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সুরক্ষিত এলাকার বাইরে বাস করে।

এই প্রকল্পে চেইন-লিঙ্ক ফেন্সিং, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি প্রাণী স্বাস্থ্য, তৃণভূমি উন্নয়ন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়নের উপরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

বাঘ সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ কার্যক্রম বর্তমানে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) দ্বারা অর্থায়ন করা হয়। এনটিসিএ ৬০% তহবিল সরবরাহ করে, বাকি ৪০% রাজ্য অবদান রাখে।

এনটিসিএ তহবিল মূলত মূল বনভূমি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে, যার ফলে বাফার জোনগুলি কম তহবিল পায়। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তহবিল ছাড়তে বিলম্ব আরও সংরক্ষণ প্রচেষ্টাকে প্রভাবিত করে।

২০২৪ সালে মধ্যপ্রদেশে ৪৬টি বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪-২৫ সালে বাঘের আক্রমণে আটজন মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।

বন বিভাগ মাঠ পরিচালকদের মানব-পশু দ্বন্দ্বের হটস্পট চিহ্নিত করে তা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে। তাদের উদ্ভাবনী সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মডেল গ্রাম গড়ে তোলার জন্যও উৎসাহিত করা হচ্ছে।

মাঠ পরিচালকরা বিদ্যমান এবং উদীয়মান হটস্পট চিহ্নিত করতে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। ক্লাস্টার মডেলে সৌর বেড়া দেওয়ার মতো হস্তক্ষেপ বিবেচনা করা হচ্ছে।

বন কর্মকর্তারা স্থানীয় যুবকদের দক্ষতা প্রদানের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সাথে সহযোগিতা করছেন। এর লক্ষ্য হল আস্থা তৈরি করা এবং বন্যজীবনের প্রতি বিরক্তি কমানো।

বানাস নদীর ধারের গ্রামগুলিতে আরও ভাল সংরক্ষণের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। যথাযথ পদক্ষেপ ছাড়া এই গ্রামগুলি মানুষ ও পশুর মধ্যে দ্বন্দ্বের ঝুঁকিতে রয়েছে।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।