আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৫ সালের জন্য বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৩.০% করেছে। এপ্রিলের পূর্বাভাসের তুলনায় এটি ০.২ শতাংশ বেশি। বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন এবং আর্থিক অবস্থার শিথিলতা এই সংশোধনকে প্রভাবিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক ১৪৫% থেকে কমিয়ে ৫৫% করেছে। অন্যদিকে, চীনও আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক ১২৫% থেকে কমিয়ে ১০% করেছে।
জুলাই ২০২৫-এ, যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা আগস্ট ২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়ার জন্য তামা আমদানির উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করবে। এই পদক্ষেপের ফলে তামার দাম ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা চীনের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বাতিল এবং উচ্চ শুল্ক আরোপ করার জন্য একটি বিল প্রস্তাব করেছেন। এই বিলটি চীনের স্থায়ী স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক (Permanent Normal Trade Relations) বাতিল করে এবং চীনা আমদানির উপর কমপক্ষে ৩৫% শুল্ক আরোপ করার কথা বলছে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সতর্ক করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ০.২% হ্রাস পেতে পারে। সংস্থাটি আরও জানায়, বাণিজ্য যুদ্ধ আরও খারাপ হলে এটি ১.৫% পর্যন্ত হতে পারে।
স্টকহোমে অনুষ্ঠিত আলোচনায় চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান শুল্ক ব্যবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের আমদানির উপর ৩০% শুল্ক বহাল রাখবে, যেখানে চীন আমেরিকার পণ্যের উপর ১০% শুল্ক অব্যাহত রাখবে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মনে করে, শুল্ক হ্রাসের ফলে বাণিজ্য ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।