বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের ইরানের উপর সামরিক হামলার পর বিশ্ব বাজারের শেয়ার সূচক কমেছে এবং তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিক্রিয়ার ঢেউ সৃষ্টি করেছে, যা সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচক ১.১% কমে ৫,৯৮৪-এ দাঁড়িয়েছে, যেখানে ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ এবং নাসডাক কম্পোজিট ফিউচারস যথাক্রমে ১.১% এবং ১.৪% কমেছে, ট্রেডিং শুরুর আগে। মার্কিন বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ৭.৩% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭২.৯১ ডলারে পৌঁছেছে এবং ব্রেন্ট ক্রুড ৬.৭% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৪.১৫ ডলারে উঠেছে।
রাতের বেলা এশিয়া ও ইউরোপের বাজারে পতন দেখা গেছে। টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক ০.৯% কমেছে, সিউলের কোস্পি ০.৯% কমেছে, হংকংয়ের হ্যাং সেং ০.৬% কমেছে, সাংহাই কম্পোজিট ইনডেক্স ০.৮% কমেছে এবং অস্ট্রেলিয়ার এস অ্যান্ড পি/এএসএক্স ২০০ সূচক ০.২% কমেছে। জার্মানির ড্যাক্স ১.৪% কমেছে, ফ্রান্সের সিএসি ৪০ ১% কমেছে এবং ব্রিটেনের এফটিএসই ১০০ ০.৫% কমেছে।
আক্রমণে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, বিজ্ঞানী এবং সামরিক কমান্ডারদের উপর বিমান হামলা অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইরান ইসরায়েলের উপর ১০০টিরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের উচ্চ মূল্য এই উত্তেজনার প্রধান কারণ যা বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
যদিও ইরানের তেল উৎপাদন বা রপ্তানি সুবিধায় সরাসরি কোনো প্রভাব পড়েনি, তবে হরমুজ প্রণালী ইরান কর্তৃক অবরোধ করার ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দামের ক্রমাগত বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে পারে।
মে মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বার্ষিক ভিত্তিতে ২.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে কম, কারণ জ্বালানি খরচ কমেছে। ফেডারেল রিজার্ভের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ২%।