আগস্টের ১ তারিখ, ২০২৫ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে।
iShares India 50 ETF (INDY)-এর ৩১শে জুলাই, ২০২৫ তারিখের শেয়ারের মূল্য ছিল $52.32।
এই শুল্ক আরোপের ফলে স্মার্টফোন, ঔষধ, বস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশের মতো প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভারতের স্মার্টফোন রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। Canalys-এর মতে, Q2 2025-এ, ভারতে তৈরি স্মার্টফোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট স্মার্টফোন আমদানির ৪৪% ছিল, যেখানে চীনের ছিল ২৫%। যেখানে Q2 2024 এ চীনের ছিল ৬১% এবং ভারতের ছিল মাত্র ১৩%। Apple তাদের "China Plus One" স্ট্র্যাটেজির কারণে ভারতে উৎপাদন বাড়িয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প, যা ২০২৫ অর্থবছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের জেনেরিক ওষুধ রপ্তানি করেছে, তাদেরও সমস্যা হবে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেনেরিক ওষুধের প্রায় ৪০% ভারত থেকে আসে।
এছাড়াও, ভারতের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ শিল্প, যা ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২.২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসার কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে পারে এবং নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে পারে।
ভারত সরকার বাণিজ্য আলোচনার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই শুল্কের প্রতিক্রিয়ায়, ভারত সরকার মার্কিন পণ্যগুলির উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে। সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে, যাতে মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমানো যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলিকে আর্থিক সহায়তা এবং কর ছাড়ের মতো প্রণোদনা দেওয়ার কথাও সরকার বিবেচনা করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শুল্কের ফলে ভারতের জিডিপি-র উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।