২০২৫ সালের ৯ই এপ্রিল ভারতীয় শেয়ার বাজার অস্থিরতা অনুভব করেছে, যা একাধিক কারণের সংমিশ্রণে প্রভাবিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে চীনা আমদানির উপর নতুন আরোপিত মার্কিন শুল্ক এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) আর্থিক নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। নিফটি ৫০ সূচক নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে শুরু হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি বিক্রির প্রতিফলন ঘটায়। গিফট নিফটি ফিউচারও দুর্বল শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে।
মার্কিন সরকার কর্তৃক চীনা পণ্যের উপর ১০৪% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে মুদ্রাস্ফীতিজনিত স্থবিরতা (স্ট্যাগফ্লেশন) নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে, যা বাজারের অনুভূতিকে প্রভাবিত করছে। একই সাথে, বিনিয়োগকারীরা আরবিআই-এর নীতি ঘোষণার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন। ২০২৫ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি, আরবিআই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করার জন্য রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৬.২৫%-এ নিয়ে আসে।
প্রত্যাশিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলির মধ্যে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস, যারা মার্কিন শুল্ক থেকে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, এবং ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অটোমোবাইল এবং রিয়েল এস্টেট, যারা আরবিআই-এর সুদের হার সমন্বয়ের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। সিটি রিসার্চ মার্কিন শুল্ক থেকে ভারতের জিডিপির উপর সীমিত প্রত্যক্ষ প্রভাব আশা করছে, তবে বৃহত্তর বিশ্বব্যাপী মন্দার ঝুঁকি স্বীকার করেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন যে আরবিআই কর্তৃক সুদের হার কমানো হলে ঋণ নেওয়া আরও সাশ্রয়ী হতে পারে, যা সম্ভবত ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর মার্কিন শুল্কের প্রান্তিক প্রভাবকে হ্রাস করতে পারে।