ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক দশক ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা একটি ওয়ালেট হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩৫ বিটকয়েন (BTC) একটি নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর করেছে। এই ঘটনাটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের কার্যকলাপ এবং বাজারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০১৪ সালে যখন এই ৩৫ বিটিসি কেনা হয়েছিল, তখন এর মূল্য ছিল মাত্র ২১,৬৩২ ডলার। গত ১০.৫ বছরে বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৯২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই দীর্ঘমেয়াদী হোল্ডারদের জন্য একটি বিশাল লাভ এনে দিয়েছে। বর্তমানে, এই ৩৫ বিটিসি প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের সমতুল্য।
বিটকয়েন বাজারে দীর্ঘমেয়াদী নিষ্ক্রিয় থাকা ওয়ালেটগুলোর সক্রিয় হওয়া নতুন নয়। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে যা বাজারের অস্থিরতা বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মার্চ ২০২৫-এ ১,০০০ বিটিসি (যা ২০১০ সালে মাইন করা হয়েছিল) প্রায় ৬৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়াও, জানুয়ারি ২০২৫-এ পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা প্রায় ৪৯,৮৬৬ বিটিসি সরানো হয়েছিল, তবে সেগুলো কোনো এক্সচেঞ্জে পাঠানো হয়নি। ক্রিপ্টো কোয়ান্ট (CryptoQuant) এর মতো অন-চেইন অ্যানালিটিক্স ফার্মগুলো এই ধরনের কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তারা জানিয়েছে যে, প্রায় ৭-১০ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা ১৪,০০০ বিটকয়েন (প্রায় ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের) নতুন ওয়ালেটে স্থানান্তরিত হয়েছে, যা তাৎক্ষণিক বিক্রির উদ্দেশ্যে নয় বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো বাজারের অংশগ্রহণকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করে এবং দীর্ঘমেয়াদী হোল্ডারদের এই ধরনের কার্যকলাপ বাজারের প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করে।