ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ২০২৫ সালের ২৪শে জুলাই বিটকয়েনের (BTC) দামে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা যায়। বিটকয়েন ২.৫% এর বেশি কমে $115,170-এ নেমে আসে, যা জুলাই মাসের ১০ তারিখের পর সর্বনিম্ন [১, ২, ৩]।
এই দরপতন এমন সময়ে ঘটেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারেও মন্দা দেখা যায়। ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ০.৭% কমে 44,693.91-এ দাঁড়িয়েছে [১, ২, ৩]। তবে, এস&পি 500 সামান্য ০.১% বৃদ্ধি পেয়ে 6,363.65-এর নতুন রেকর্ডে বন্ধ হয়েছে [১, ২, ৩, ৮]।
বিটকয়েনের এই দর পতন $116,000-$120,000 এর মধ্যে একত্রীকরণের ধারা ভেঙে দিয়েছে, যা $11,956 প্রতিরোধের স্তরে ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি করে [১, ৫]।
বিশ্লেষকদের মতে, বিটকয়েনের এই পতনকে শুধুমাত্র একটি নেতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত নয়। বরং, এটি বিনিয়োগের কৌশলগুলি পুনর্বিবেচনা করার এবং বাজারের স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করার একটি সুযোগ [৯, ১০, ১১]।
আগের বছরগুলির তুলনায় বিটকয়েনের অস্থিরতা হ্রাস পেয়েছে, যা বাজারের পরিপক্কতার ইঙ্গিত দেয় [৯, ১০, ১১]। এছাড়াও, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিটকয়েন একটি আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে সহায়ক [৯, ১০, ১১]।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দামের এই পতন বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও অ্যাক্সেসযোগ্য মূল্যে বাজারে প্রবেশ করার সুযোগ হতে পারে, যা ভবিষ্যতের পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে [৯, ১০, ১১]।
দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা এবং বাজারের এই ওঠানামা বৃহত্তর স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধির দিকে যাত্রার অংশ হিসেবে দেখা উচিত [৯, ১০, ১১]।