মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ৩০শে জুলাই একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এই আদেশে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৪০% শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে, যা ৬ই আগস্ট থেকে কার্যকর হবে । এর ফলে ব্রাজিলের পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০%-এ দাঁড়াবে ।
হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের সরকারি নীতিগুলির কারণে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা জানিয়েছেন, যদি এই শুল্ক কার্যকর করা হয়, তবে ব্রাজিলও মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে প্রস্তুত ।
কিছু নির্বাচিত পণ্যের ক্ষেত্রে এই শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেমন, বেসামরিক বিমান, জ্বালানি পণ্য এবং কমলার রস ।
এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে । বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশেরই উচিত নিজেদের অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্বিবেচনা করা ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই শুল্ক আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে, বাণিজ্য শুল্কের কারণে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ২% পর্যন্ত হ্রাস হতে পারে ।
Fastmarkets-এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ Patrick Cavanagh মনে করেন, এই শুল্কের কারণে আমেরিকার বাজারে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে ।
এই পরিস্থিতিতে, ব্রাজিলের অর্থনীতিতে ০.৬% থেকে ১.০% পর্যন্ত প্রভাব পড়তে পারে, যদিও অন্যান্য দেশে রপ্তানি বৃদ্ধি করে এই ক্ষতি কমানো যেতে পারে ।
এই বাণিজ্য যুদ্ধ ভবিষ্যতে কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।