মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর দিকে বিশাল বিনিয়োগ করছে, যা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছে। সিইও মার্ক জাকারবার্গ এআই ডেটা সেন্টারগুলিতে কয়েকশ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
এই বিনিয়োগের প্রযুক্তিগত তাৎপর্য অনেক। প্রথম সুপারক্লাস্টার, প্রোমিথিউস, ২০২৬ সালে ওহাইও-এর নিউ আলবানিতে চালু হওয়ার কথা, যা উন্নত এআই কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ডেটা সেন্টারগুলি তৈরি করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যা এআই মডেলগুলির প্রশিক্ষণ এবং পরিচালনার ক্ষমতা বাড়াবে। প্রযুক্তিগত বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ডেটা সেন্টারগুলি এআই-এর ভবিষ্যৎ বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, একটি গবেষণা অনুসারে, উন্নত এআই মডেলগুলির জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং শক্তি প্রতি বছর দ্বিগুণ হচ্ছে।
পরবর্তীকালে, মেটা লুইজিয়ানাতে হাইপেরিয়ন নামে একটি ডেটা সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা করছে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ৫ গিগাওয়াট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এই বিনিয়োগগুলি মেটার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের এআই-চালিত বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের সম্ভাবনা বাড়াবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বিনিয়োগগুলি মেটাকে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে আরও শক্তিশালী করবে। একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এআই-এর বাজারের আকার ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।
এই বিনিয়োগগুলি মেটার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সাহায্য করবে। ডেটা সেন্টারগুলির নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বিপুল সংখ্যক দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। এই পদক্ষেপগুলি প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে, যদি তারা এই খাতে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। মেটার এই বিশাল বিনিয়োগ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।