যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত নতুন বাণিজ্য চুক্তি বিলাসবহুল পণ্যের বাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইউরোপ থেকে আমদানি করা অধিকাংশ পণ্যের উপর ১৫% শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।
এই চুক্তির ফলে বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলো নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এলভিএমএইচ (LVMH) এবং কেরিং (Kering)-এর মতো বড় ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রধান বাজারগুলোতে বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, বিলাসবহুল পণ্যের বাজারে এই শুল্কের কারণে ২% থেকে ৫% পর্যন্ত সংকোচন হতে পারে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হলে বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোকে নতুনত্ব এবং গ্রাহকদের চাহিদার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। ব্র্যান্ডগুলোকে এখন গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বিশ্ব বিলাসবহুল পণ্যের বাজার ছিল প্রায় ৪১৯ বিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি। এই বাজারের গতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে, ব্র্যান্ডগুলোকে এখন বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
UBS-এর একটি হিসেবে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৫% শুল্কের কারণে বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলোকে গড়ে প্রায় ২% দাম বাড়াতে হতে পারে, অথবা লাভের উপর ৩% প্রভাব পড়তে পারে।
Bain & Co.-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বিলাসবহুল পণ্যের বিক্রি ২০২৫ সালে ২% থেকে ৫% পর্যন্ত কমতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, অনেক ব্র্যান্ড নতুন ডিজাইনার নিয়োগের মাধ্যমে তাদের পণ্যে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছে।
ম্যাককিনজির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিলাসবহুল ফ্যাশন শিল্পে ভারত ১৫% থেকে ২০% পর্যন্ত উন্নতি করতে পারে।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন কেনাকাটার ওপর জোর দেওয়া এখনকার দিনের চাহিদা, যেখানে ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকদের জন্য একটি মসৃণ অভিজ্ঞতা তৈরি করতে চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, এই শুল্ক luxury brand-গুলোর জন্য খুব বড় হুমকি নয়, কারণ শক্তিশালী ব্র্যান্ডগুলো দাম বাড়িয়ে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবে।
U.S. প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এই চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবং উভয় পক্ষই বাণিজ্য সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল করার জন্য কাজ করছে।