ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ অপারেটর বুলিশ, যা কয়েনডেস্কেরও মালিক, $৩৭ প্রতি শেয়ারে তাদের মার্কিন প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সম্পন্ন করেছে। এই মূল্যায়নে কোম্পানিটি $১.১ বিলিয়ন সংগ্রহ করেছে, যা তাদের $৫.৪১ বিলিয়ন মূল্যায়নে পৌঁছে দিয়েছে। শেয়ারগুলি $৫৫ থেকে $৬০ এর মধ্যে লেনদেন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কোম্পানির মূল্যায়ন প্রায় $৮.৭৭ বিলিয়নে উন্নীত করতে পারে। এই উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি জুনে সার্কেলের $১.০৫ বিলিয়ন আইপিও-এর পর এসেছে, যা একটি স্থিতিশীল মুদ্রণকারী সংস্থা। এই দুটি কোম্পানির শক্তিশালী বাজার পারফরম্যান্স ডিজিটাল সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। এই উত্থানের পেছনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে প্রণীত অনুকূল নীতিগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই ২০২৫-এ প্রণীত জেনিয়াস অ্যাক্ট (GENIUS Act) একটি সুস্পষ্ট নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করেছে, যা স্থিতিশীল মুদ্রণকারী সংস্থাগুলিকে মার্কিন ডলার বা অনুরূপ কম-ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের সাথে এক-এক অনুপাতে ব্যাকআপ রাখতে বাধ্য করে। এই আইনটি গ্রাহক সুরক্ষা জোরদার করে এবং ডিজিটাল সম্পদের বাজারে স্বচ্ছতা ও আস্থা বৃদ্ধি করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি সেক্টরে আইপিও-এর এই পুনরুজ্জীবন বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং একটি সহায়ক নিয়ন্ত্রক পরিবেশের প্রতিফলন। অন্যান্য ক্রিপ্টো সংস্থা যেমন জেমিনি এবং গ্রেস্কেলও তাদের পাবলিক লিস্টিং বিবেচনা করছে। জেমিনি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) কাছে একটি গোপনীয় আইপিও ফাইলিং জমা দিয়েছে, যখন গ্রেস্কেল ইনভেস্টমেন্টস, যারা $৩৩ বিলিয়নের বেশি ক্রিপ্টো সম্পদ পরিচালনা করে, তারাও একই ধরনের ফাইলিং করেছে। এই প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে ক্রিপ্টো শিল্প মূলধারার আর্থিক বাজারে আরও দৃঢ়ভাবে প্রবেশ করছে, যা নিয়ন্ত্রক স্বচ্ছতা এবং বৃহত্তর পুঁজির প্রবাহকে উৎসাহিত করবে।