এলোন মাস্কের গ্রোক ৪: প্রযুক্তির জগতে এক নতুন দিগন্ত?

সম্পাদনা করেছেন: Olga Sukhina

এলোন মাস্ক সম্প্রতি গ্রোক ৪ উন্মোচন করেছেন, যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই নিবন্ধে, আমরা এই নতুন এআই মডেলটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব এবং এর সম্ভাব্য প্রভাবগুলো বিশ্লেষণ করব।

মাস্ক দাবি করেছেন যে গ্রোক ৪ বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এআই, যা মানুষের চেয়েও বেশি কিছু করতে সক্ষম। যদিও, এটি এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষের ব্যক্তিগত বুদ্ধিমত্তাকে অতিক্রম করতে পারেনি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালে এআই বাজারের মূল্য ছিল প্রায় ১৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। এই বিশাল বিনিয়োগ এআই-এর গুরুত্ব প্রমাণ করে।

গ্রোক ৪-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে মাস্কের পূর্বাভাস অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তিনি মনে করেন, এটি দুই বছরের মধ্যে যেকোনো মানুষের চেয়ে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে সকল মানুষের মিলিত বুদ্ধিমত্তাকেও ছাড়িয়ে যাবে। তবে, এই ধরনের অগ্রগতির সঙ্গে নৈতিক এবং সামাজিক উদ্বেগও জড়িত। উদাহরণস্বরূপ, তথ্য সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও গ্রোক ৪-এর আত্মপ্রকাশ কিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেমন স্বয়ংক্রিয় গ্রোক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছিল, তবুও এআই-এর প্রতি আগ্রহ কমেনি। ভারতেও এআই গবেষণা এবং উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা খাতে এর প্রয়োগের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। গ্রোক ৪-এর মতো উদ্ভাবন আমাদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করতে পারে, তবে এর জন্য প্রয়োজন সতর্ক পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ব্যবস্থা।

উৎসসমূহ

  • ElPaisVallenato.com

  • Axios

  • Cinco Días

  • TechRadar

  • AP News

  • arXiv:1705.08807

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।