অ্যাপল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এ তাদের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার ঘোষণা দিয়েছে । কোম্পানিটি তাদের এআই প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে এবং এই শিল্পে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ।
অ্যাপলের এই বিনিয়োগ একটি চার বছর মেয়াদী পরিকল্পনা, যেখানে কোম্পানিটি দক্ষতা উন্নয়ন, ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ এবং একটি সার্ভার তৈরির হাব তৈরি করবে । এছাড়াও, কোম্পানিটি অভ্যন্তরীণ দল এবং তৃতীয় পক্ষের অবকাঠামো ব্যবহার করে একটি মিশ্র মডেল অনুসরণ করছে, যা খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং নমনীয়তা বজায় রাখতে সহায়ক ।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক বলেছেন যে, এআই তাদের ভবিষ্যৎ কৌশলগুলির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে । তিনি বলেন, "অ্যাপল সবসময় সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে সবার জন্য সহজলভ্য করে তোলার চেষ্টা করে, এবং এটাই আমাদের এআই কৌশলের মূল ভিত্তি" ।
কোম্পানিটি এআই খাতে তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্যান্য কোম্পানি অধিগ্রহণের কথাও বিবেচনা করছে । কুক জানিয়েছেন যে, তারা ইতিমধ্যেই বছরে সাতটি ব্যবসা অধিগ্রহণ করেছে ।
গবেষণা সংস্থাগুলির মতে, বিশ্বব্যাপী এআই বাজার ২০৩০ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে । কেউ কেউ মনে করেন যে ২০৩০ সাল নাগাদ এই বাজার ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে । এই তথ্য অ্যাপলের বিনিয়োগের কৌশলগত গুরুত্ব এবং দ্রুত বর্ধনশীল এই শিল্পে এর অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে ।
অ্যাপলের এই পদক্ষেপ শুধু ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের প্রতি একটি অঙ্গীকার। কোম্পানিটি এআইকে তাদের গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করবে ।