ইসিবি সুদের হার কমানোর ফলে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সম্পদ থেকে দূরে সরছেন

সম্পাদনা করেছেন: Elena Weismann

ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি) আজ তার আমানতের হার ২% এ নামিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের মার্কিন সম্পদ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সাল থেকে এটি সুদের হার কমানোর অষ্টম পদক্ষেপ, যা ইউরোজোনের পুনরুদ্ধারের জন্য একটি উৎসাহ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ডিভেরে গ্রুপের সিইও নাইজেল গ্রিন বলেছেন, সুদের হার কমানো মার্কিন বাজার থেকে মূলধনের ঘূর্ণনকে 'আরো শক্তিশালী' করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রমবর্ধমান ঋণ এবং বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা সহ বিভিন্ন উদ্বেগের কারণে বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক চাপ, যেমন বার্ষিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘাটতি এবং প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বার্ষিক ঋণ সুদ পরিশোধ, এই পরিবর্তনে অবদান রাখছে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস ২০৩৪ সালের মধ্যে ফেডারেল ঋণ জিডিপি-র ১২২% এ পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বাণিজ্য উত্তেজনা মার্কিন সম্পদের উপর আস্থা আরও কমিয়ে দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা একটিমাত্র অর্থনীতির উপর তাদের অতিরিক্ত বিনিয়োগের পুনর্বিবেচনা করছেন, যা আর্থিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে। স্থিতিশীলতার জন্য মূলধন ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। ইসিবি-র নীতি স্থিতিশীলতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে দুর্বল ইউরো রফতানি প্রতিযোগিতা বাড়ায়। গ্রিন জোর দিয়েছিলেন যে ইউরোপীয় ইক্যুইটিগুলি তুলনামূলকভাবে অবমূল্যায়িত রয়েছে। এই পদক্ষেপটি একটি কাঠামোগত বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবর্তনের প্রতিফলন, কারণ বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী ধারণাগুলোর উপর কাজ করছেন।

উৎসসমূহ

  • News Ghana

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।