যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টল, ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার এবং মেডিকেল ডিটেকশন ডগস চ্যারিটির যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, যেখানে প্রশিক্ষিত কুকুর পার্কিনসন রোগের সনাক্তকরণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে।
গবেষণায় দুটি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যাতে তারা পার্কিনসন রোগী এবং সুস্থ মানুষের ত্বকের নমুনা থেকে সেবাম স্যাম্পলস (sebum samples) পার্থক্য করতে পারে। ডাবল-ব্লাইন্ড পরীক্ষায়, কুকুরগুলি ৮০% সংবেদনশীলতা এবং ৯৮% নির্দিষ্টতা প্রদর্শন করেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক, ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নিকোলা রুনি বলেন, "এই গবেষণায় কুকুরগুলি পার্কিনসন রোগীদের সেবাম স্যাম্পলস সঠিকভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, যা এই রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণে কুকুরের সম্ভাব্য ভূমিকা নির্দেশ করে।"
মেডিকেল ডিটেকশন ডগস চ্যারিটির সিইও ক্লেয়ার গেস্ট বলেন, "পার্কিনসন রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত এবং অ-আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে রোগ নির্ধারণ সম্ভব হতে পারে, যা সময়মতো চিকিৎসা শুরু করতে সহায়তা করবে।"
এই গবেষণার ফলাফলগুলি ভবিষ্যতে পার্কিনসন রোগের প্রাথমিক সনাক্তকরণে কুকুরের ঘ্রাণশক্তির ব্যবহারের সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে।