কুকুর এবং শিশুদের পারস্পরিক সম্পর্ক
সাম্প্রতিক গবেষণা শিশুদের জীবনে কুকুরের ইতিবাচক প্রভাবের ওপর আলোকপাত করেছে । একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, কুকুরের সঙ্গে বসবাস শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ।
শারীরিক সুবিধা
কুকুর শিশুদের শারীরিক কার্যকলাপ এবং খেলাধুলায় উৎসাহিত করে । একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কুকুর হাঁটা পরিবারগুলোকে বাইরে যেতে উৎসাহিত করে, যা শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে ।
মানসিক ও সামাজিক সুবিধা
কুকুর শিশুদের বন্ধুত্বের অভাব পূরণে এবং মানসিক সমর্থন প্রদানে সহায়ক । অ্যাফিনিটি অ্যানিমেল অ্যান্ড হেলথ ফাউন্ডেশন চেয়ারের পরিচালক জিউম ফাতজো উল্লেখ করেছেন যে, কুকুর শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক সুবিধা প্রদান করে । এলেনা গার্সিয়া যোগ করেছেন যে, কুকুর শিশুদের একাকীত্ব দূর করতে পারে ।
সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি
গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিশুরা কুকুরের সঙ্গে বড় হয়, তাদের মধ্যে সামাজিক দক্ষতা বেশি থাকে । তারা অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করতে পছন্দ করে ।
অন্যান্য সুবিধা
কুকুর মালিকরা সাধারণত ব্যায়াম করার প্রতি বেশি আগ্রহী হন । কুকুর হাঁটা বয়স্কদের জন্য শারীরিক কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে ।
প্রতি বছর ২৬শে আগস্ট আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস পালিত হয় । এই দিবসটি কুকুরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি উপযুক্ত সময়, কারণ তারা আমাদের জীবনে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
কুকুর শিশুদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ।