সাম্প্রতিক গবেষণা নিশ্চিত করেছে যে বিড়াল মানুষের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, বিড়ালের মিউ মিউ ডাক বা পুরিং (purring) মানসিক চাপ এবং বিভিন্ন অসুস্থতা কমাতে সাহায্য করে। এই শব্দ বা কম্পন, যা ২০ থেকে ১৪০ হার্টজ কম্পাঙ্কের মধ্যে থাকে, পেশী শিথিল করে এবং টিস্যু পুনর্জন্ম দ্রুততর করে।
বিড়ালের সাথে সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। বিড়াল পোষা ব্যক্তিদের মধ্যে বিষণ্ণতা কম দেখা যায় এবং তাদের হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিড়াল পোষা ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৩০% পর্যন্ত কম থাকে।
তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে বিড়াল প্রচলিত চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। বিড়াল থেরাপি বা ফেলিইন থেরাপি (feline therapy) হল সুস্থতা বাড়ানোর একটি সহায়ক পদ্ধতি মাত্র, এটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে বিড়ালের পুরিং-এর কম্পাঙ্ক (সাধারণত ২৫-১৫০ হার্টজ) মানবদেহের উপর থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলতে পারে। এই কম্পাঙ্ক হাড়ের নিরাময়, প্রদাহ হ্রাস এবং টিস্যু পুনর্জন্মকে উৎসাহিত করে। এটি ব্যথা উপশম এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতেও সাহায্য করতে পারে। বিড়ালের সান্নিধ্য মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়ক, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বিড়াল পোষা ব্যক্তিদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম হতে পারে। feline therapy বা বিড়াল থেরাপি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে কিছু বিড়াল তাদের শান্ত স্বভাব এবং সামাজিকতার কারণে থেরাপি প্রাণী হিসেবে কাজ করার জন্য উপযুক্ত বলে প্রমাণিত হয়েছে।