ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন রোমান্স ভাষা হিসেবে চিহ্নিত আরাগোনিজ ভাষা গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। সারগোসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত একটি গবেষণা, যার শিরোনাম “চারান্দো আরাগোনেস: লা লেঙ্গুয়া আরাগোনেসা এন সু জোনা দে ইউসো প্রিডমিন্যান্টে” (আরাগোনিজ ভাষায় কথা বলা: এর প্রধান ব্যবহার ক্ষেত্রে আরাগোনিজ ভাষা), ভাষাটির বর্তমান অবস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে।
প্রায় ৮,০০০ মানুষ প্রতিদিন এটি ব্যবহার করে, বিশেষ করে পরিবার ও পাড়ার পরিবেশে এবং ছোট শহরগুলিতে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, জরিপকৃত জনসংখ্যার ৭৯% ভাষাটি বোঝে, তবে মাত্র ৩৪% কথা বলে, ২৯% লেখে এবং ৬৯% পড়ে। এই পরিসংখ্যান দুর্বল আন্তঃপ্রজন্মীয় সংক্রমণকে তুলে ধরে, যা এর টিকে থাকার ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাধা।
আরাগোনিজ মূলত পাইরেনীয় উপত্যকা এবং গ্রামীণ জনপদগুলিতে টিকে আছে। তবে, জনসংখ্যা হ্রাস, বয়স্ক জনসংখ্যা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনের অভাবের মতো কারণগুলি এর ধারাবাহিকতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে। লেখকরা সতর্ক করেছেন যে, “সামাজিক ও জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলি বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন রোমান্স ভাষার টিকে থাকাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।”
চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, গবেষণাটি ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেছে, যেমন জনসংখ্যার মধ্যে ক্রমবর্ধমান ভাষাগত সচেতনতা এবং সাংস্কৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ব্যাপক সমর্থন। গবেষকরা ঐতিহাসিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন যা আরাগোনিজ ভাষাকে একটি “গ্রাম্য” বা “দ্বিতীয় শ্রেণীর” ভাষার সাথে যুক্ত করেছে। লেখকরা আরাগোনিজ ভাষার ব্যবহারের বিবর্তন নিরীক্ষণের জন্য পর্যায়ক্রমে জরিপটি পুনরাবৃত্তি করার এবং এটিকে অন্যান্য অঞ্চলে প্রসারিত করার প্রস্তাব করেছেন।
সারগোসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস দ্বারা কাগজ ও ডিজিটাল ফরম্যাটে প্রকাশিত বইটি জোর দিয়ে বলেছে যে আরাগোনিজ আরাগোনিজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি “সম্পদ”। লেখকরা আরও দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যেমন শিক্ষায় আরাগোনিজ অন্তর্ভুক্ত করা এবং মিডিয়া ও প্রশাসনে এর ব্যবহারকে স্বাভাবিক করা, যাতে এই হাজার বছরের পুরনো ভাষাটি স্মৃতিতে পরিণত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। “দৃঢ় পদক্ষেপ ছাড়া, এই ঐতিহ্য হারানোর ঝুঁকি খুবই বাস্তব,” তারা উপসংহারে বলেছেন।