প্রাচীন হাত্তুসা, যা তুরস্কের হিট্টি সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল, সেখানে একটি নতুন ভাষার সন্ধান পাওয়া গেছে । এই আবিষ্কার ভাষা এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে নতুন তথ্য যোগ করেছে।
ব্রোঞ্জ যুগে (আনুমানিক ১৬৫০-১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) হাত্তুসা ছিল হিট্টি সাম্রাজ্যের কেন্দ্র । এখানে খননকার্যের ফলে প্রায় ৩০,০০০ কিলকাক্ষর ফলক আবিষ্কৃত হয়েছে । এই ফলকগুলো প্রাচীন আনাতোলীয় সমাজের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয় ।
ফলকগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হিট্টি ভাষায় লেখা, যা প্রাচীনতম পরিচিত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা । এছাড়াও, লুভীয়, পালাীয় এবং হাত্তিক-এর মতো অন্যান্য ভাষাও পাওয়া গেছে । ২০২৩ সালের খননকালে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা কালাশমা নামক একটি অঞ্চলের ভাষা খুঁজে পান, যা একসময় হিট্টি সাম্রাজ্যের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে ছিল ।
ভাষাটি হিট্টি ভাষায় লেখা একটি ধর্মীয় আচারে পাওয়া যায় । বিশেষজ্ঞরা এখনও এর পাঠোদ্ধার করতে পারেননি, তবে তারা নিশ্চিত করেছেন যে এটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার আনাতোলীয় শাখার অন্তর্গত ।
হিট্টি সাম্রাজ্য ভাষার এক বিশাল ভাণ্ডার ছিল, যা তাদের আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করত । হাত্তুসার ধ্বংসাবশেষ ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় ।
কালাশমা ভাষার আবিষ্কার মানব ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করে ।