সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, নারীবাদী শিল্পীরা জার্মান ভাষার প্রথাগতভাবে অবমাননাকর শব্দ "Fotze" [ˈfɔtsə], যার অর্থ 'অশ্লীল শব্দ', তাকে নতুন করে ব্যাখ্যা করে আত্মশক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন। এই প্রবণতা বিভিন্ন শিল্পকর্ম এবং জনসাধারণের আলোচনায় স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিদ ডঃ অক্সানা হাভরিলিভ দীর্ঘদিন ধরে গালিচ্ছার ব্যবহার এবং এর সামাজিক প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, নারীরা যখন এই ধরনের শব্দ নিজেদের করে নেন, তখন এটি পুরোনো নেতিবাচক ধারণা থেকে মুক্তি পেয়ে ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের একটি উপায় হয়ে দাঁড়ায়।
এই পরিবর্তনের একটি উদাহরণ হলো র্যাপার ইকিমেল, যিনি ২০২৫ সালে "Fotze" শিরোনামে তাঁর অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাঁর কাজের মধ্যে এই শব্দের ব্যবহার একটি আত্মশক্তির প্রকাশ এবং এটি এর সঙ্গে জড়িত নেতিবাচক ধারণাগুলোকে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে।
এই আন্দোলন শুধু সঙ্গীত জগতেই সীমাবদ্ধ নয়। ২০২৩ সালে হামবুর্গের মিউজিয়াম ফিউর কুন্সট উন্ড গেভারবে "The F*Word" শীর্ষক প্রদর্শনী চালু করে, যা নারীদের শিল্প রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা করে এবং নারীবাদী আলোচনার অংশ হিসেবে "Fotze" শব্দটিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
তবে এই ইতিবাচক পুনর্গৃহীতির বিপরীতে সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরও রয়েছে। কেউ কেউ যুক্তি দেন যে, নারীদের দ্বারা এই ধরনের গালিচ্ছার ব্যবহার বাস্তবে বিদ্যমান সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস পরিবর্তন করে না, বরং মূল গালিচ্ছার শক্তিকে অন্তর্গত করে।
সার্বিকভাবে, এই 'এফ-ওয়ার্ড' নিয়ে জড়িত আলোচনা একটি জটিল বিষয়, যা আত্মশক্তির সুযোগ দেয় এবং সামাজিক নিয়ম ও ক্ষমতার কাঠামোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।