ভাষা সর্বদা পরিবর্তনশীল, যা সমাজের পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির অগ্রগতিকে প্রতিফলিত করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইন্টারনেট নতুন ভাষাগত প্রবণতা তৈরি করেছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'ভিস্কো গার্ল' এবং 'এনপিসি' [১]।
'ভিস্কো গার্ল' একটি শব্দ যা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে, মূলত ভিএসসিও (VSCO) নামক ফটো এডিটিং অ্যাপ থেকে অনুপ্রাণিত [১, ১০, ১১, ১৪]। এটি মূলত একটি তরুণ উপসংস্কৃতি, যা আরামদায়ক এবং সৈকত-সংশ্লিষ্ট ফ্যাশনের সাথে জড়িত [১]। এই স্টাইলে বড় আকারের টি-শার্ট, হুডি, বিরকেনস্টক স্যান্ডেল, স্ক্রাঞ্চি, হাইড্রো ফ্লাস্ক ওয়াটার বটল এবং ফিয়েলরাভেন কানকেন ব্যাকপ্যাকের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত [১, ১২]। এই জীবনধারা পরিবেশ সচেতনতার ওপর জোর দেয়, যেখানে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্ট্র ও জলের বোতল ব্যবহারের মাধ্যমে 'কাছিম বাঁচাও'-এর মতো স্লোগান প্রচার করা হয় [১, ১৭]।
'এনপিসি' (NPC) একটি শব্দ যা 'নন-প্লেয়ার ক্যারেক্টার' এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি মূলত ভিডিও গেম থেকে এসেছে, যেখানে খেলোয়াড়দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন চরিত্রগুলোকে বোঝানো হয় [১, ২, ৬]। ইন্টারনেট সংস্কৃতিতে, এটি এমন ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যাদের মধ্যে মৌলিক চিন্তাভাবনা বা স্বাধীন মতামতের অভাব রয়েছে [১, ৩]। তারা প্রায়শই সমালোচনামূলক চিন্তা ছাড়াই অন্য কারো আচরণ ও মতামতের পুনরাবৃত্তি করে [১]। ২০১৮ সালে এই মেমটি জনপ্রিয়তা লাভ করে [১]।
এই দুটি শব্দই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল ব্যবহৃত [১, ১৫]। 'ভিস্কো গার্ল' নান্দনিকতা যেমন প্রশংসিত, তেমনই সমালোচিতও হয়েছে [১, ১৭]। এটি ডিজিটাল যুগে পরিচয় এবং আত্ম-প্রকাশের জটিলতাগুলো তুলে ধরে। 'এনপিসি' মেম অনলাইন আলোচনায় কনফর্মিটি (অনুগামিতা) ও স্বতন্ত্রতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে [১]। ডিজিটাল সংস্কৃতিতে এই শব্দগুলো বোঝা জরুরি, যা অনলাইন মিথস্ক্রিয়ায় সমালোচনামূলক যুক্তিবোধের ওপর জোর দেয় [১]।
ভাষা এবং সংস্কৃতির এই পরিবর্তনগুলো ডিজিটাল বিশ্বে সচেতনভাবে চলাচল করার জন্য বোঝা এবং এর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া প্রয়োজন [১]।