রোমে অনুষ্ঠিত ইউক্রেন পুনরুদ্ধার সম্মেলনে (১০-১১ জুলাই, ২০২৫) সংযুক্ত আরব আমিরাত (সংযুক্ত আরব আমিরাত) ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আমরা একটি সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই ঘটনাটি বিশ্লেষণ করব।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী রিম আল হাশিমির নেতৃত্বে, নারী-নেতৃত্বাধীন ক্ষুদ্র ব্যবসা সমর্থন এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর জন্য একটি ঘোষণা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে এবং তাদের জন্য নিরাপদ স্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যুদ্ধের কারণে শিশুদের মধ্যে মানসিক আঘাতের সৃষ্টি হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই সমর্থন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সহায়ক হবে।
ইউক্রেন, ইতালি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ডিজিটাল রূপান্তর, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই সহযোগিতা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নেও সহায়তা করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের পুনরুদ্ধারের জন্য ২.৩ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ঋণ এবং অনুদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং ব্যবসার পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগের ব্যবস্থা করবে।
সংক্ষেপে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিশ্রুতি ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন এবং সংঘাত দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও শিশুদের ক্ষমতায়নের প্রতি তাদের উৎসর্গীকৃত মনোভাবের প্রমাণ। এই সমর্থন শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।