হ্যালোইন সজ্জার জগতে একটি নতুন ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেখানে পুরনো দিনের আকর্ষণ এবং আধুনিক মিনিমালিজমের এক চমৎকার মিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালের হ্যালোইন সজ্জায় বাড়ির মালিকরা পুরনো দিনের নকশা, ভিন্টেজ জিনিসপত্র এবং সেই সময়ের জনপ্রিয় রঙ যেমন গাঢ় লাল ও বাদামী রঙের ব্যবহার করছেন। এর ফলে বাড়িতে একটি বিশেষ, পুরনো দিনের অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী কমলা ও কালো রঙের বাইরেও রঙের ব্যবহার বাড়ছে। বারগান্ডি, পোড়া কমলা এবং গাঢ় বাদামী রঙের মতো ক্লাসিক ও উষ্ণ রঙগুলি এখন সজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যা পরিবেশকে একটি শরৎকালীন অনুভূতি দেয়।
IKEA-র মতো ব্র্যান্ডগুলি তাদের নতুন সংগ্রহে মনোক্রোম বা একরঙা নকশা এবং সাধারণ মোটিফ ব্যবহার করে মিনিমালিস্ট স্ক্যান্ডিনেভিয়ান প্রভাব আনছে। এটি তাদের জন্য যারা খুব বেশি জমকালো বা ভুতুড়ে সজ্জা পছন্দ করেন না, বরং একটি মার্জিত ও সরল সজ্জা চান। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের ব্যানার এবং বায়োডিগ্রেডেবল গারল্যান্ড-এর মতো পরিবেশ-বান্ধব উপকরণের ব্যবহারও বাড়ছে। পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন সজ্জা তৈরি করা একটি জনপ্রিয় DIY (নিজে করো) পদ্ধতি, যা পরিবেশের প্রতি সচেতনতা প্রকাশ করে।
এই বছর, সজ্জায় ইন্টারেক্টিভ এবং DIY-এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যা ব্যক্তিগতকৃত ভয়ের অভিজ্ঞতা তৈরি করতে সাহায্য করে। একই সাথে, লাইফ-সাইজ অ্যানিমেট্রনিক্স, যা মোশন সেন্সর এবং সাউন্ড ইফেক্ট সহ আসে, সেগুলোর চাহিদাও বাড়ছে। এই প্রযুক্তিগুলি বাড়িতে একটি আরও বাস্তবসম্মত এবং নিমগ্ন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম। ঐতিহাসিকভাবে, হ্যালোইন সজ্জার শুরু হয়েছিল প্রাচীন সেল্টিক উৎসব সামহাইন থেকে, যেখানে অশুভ আত্মাদের তাড়ানোর জন্য মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্যারাভ করা Turnips ব্যবহার করা হত। আমেরিকায় আসার পর, কুমড়ো দিয়ে লণ্ঠন তৈরি করার প্রচলন শুরু হয়। ১৯০০-এর দশকে ডেনিসন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং বিস্টল কোম্পানির মতো সংস্থাগুলি কাগজ দিয়ে তৈরি হ্যালোইন সজ্জা বাজারে আনে, যা খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বর্তমানে, এই ঐতিহ্যবাহী সজ্জার সাথে আধুনিক প্রযুক্তির মিশ্রণ ঘটছে, যা হ্যালোইন উৎসবকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। IKEA-র KUSTFYR এবং HÖSTAGILLE সংগ্রহের মতো নতুন পণ্যগুলি এই পরিবর্তনেরই অংশ, যা পুরনো দিনের আকর্ষণ এবং আধুনিকতার এক সুন্দর মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। এই বছর, সজ্জার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে, যেখানে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সহাবস্থান দেখা যাচ্ছে।