মেসেজে ইমোজির ব্যবহার বাড়ায় সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা: গবেষণায় প্রকাশ

সম্পাদনা করেছেন: 🐬Maria Sagir

টেক্সট মেসেজে ইমোজি ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগকে আরও প্রাণবন্ত ও সাড়া দেয়ার মতো করে তোলা যায়, যা সম্পর্ককে গভীরতা ও ঘনিষ্ঠতা দেয়। এই সহজ পদ্ধতি আবেগগত সংযোগ বাড়িয়ে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে।

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্টিন শাখার ইউন হুহ কর্তৃক পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টেক্সট মেসেজে ইমোজি যুক্ত করলে প্রাপ্ত সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ২৩ থেকে ৬৭ বছর বয়সী ২৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে মেসেজিং করার কল্পনা করেন। বিভিন্ন চ্যাট উদাহরণ পড়ানো হয়, কিছুতে ইমোজি ছিল, কিছুতে ছিল না।

গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, ইমোজিযুক্ত মেসেজগুলো বেশি সাড়া দেওয়ার মতো মনে হয়, যা উষ্ণতা ও বিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি করে। ব্যবহৃত ইমোজির ধরন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বরং তাদের উপস্থিতিই বেশি প্রভাব ফেলে।

এটি পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ডিজিটাল যোগাযোগে ইমোজির ভূমিকা তুলে ধরে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৪ সালের একটি অধ্যয়নে দেখা গেছে যে উচ্চ আবেগগত বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তিরা বন্ধুদের সঙ্গে বেশি ইমোজি ব্যবহার করেন, আর এড়িয়ে চলার প্রবণতা সম্পন্নদের ইমোজি ব্যবহারের মাত্রা কম থাকে।

ইমোজি হলো আবেগের ডিজিটাল প্রতীক, যা টেক্সট ভিত্তিক যোগাযোগকে আবেগপূর্ণ সূক্ষ্মতা প্রদান করে। এগুলো ভার্চুয়াল আলাপচারিতায় ব্যবধান কমিয়ে ব্যক্তিগত স্পর্শ যোগ করে।

তবে, ইমোজির কার্যকারিতা সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত পছন্দভেদে পরিবর্তিত হয়। প্রাপকের ব্যাখ্যা বোঝা অত্যন্ত জরুরি ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে।

সংক্ষেপে, টেক্সট মেসেজে ইমোজি সংযোজন একটি সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল হতে পারে সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য, যা আবেগগত সংযোগ ও সাড়া দেওয়ার অনুভূতিকে বৃদ্ধি করে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে, এই ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম সম্পর্কের গভীরতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।

উৎসসমূহ

  • Earth.com

  • Phys.org

  • ScienceDaily

  • Newsweek

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।