মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জি৭-কে ভারত ও চীনে রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছে
সম্পাদনা করেছেন: Svetlana Velgush
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রুপ অফ সেভেন (জি৭) দেশগুলোকে ভারত ও চীনের আমদানি পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের জন্য উৎসাহিত করছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে মস্কোর উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত শুল্কের হার ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত হতে পারে। মার্কিন প্রশাসন ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত জি৭ অর্থমন্ত্রীদের এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই প্রস্তাব পেশ করার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপটি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ববর্তী পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা, যার মধ্যে ভারতের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখার কারণে ৫০% এ উন্নীত করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ভারত ও চীনের বিরুদ্ধে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছে।
এই ঘটনাপ্রবাহ ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে, যেখানে ভারত সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত অনুমান করছে যে এই শুল্কগুলি তার প্রায় ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরনের প্রভাব দেশটির জন্য কর্মসংস্থান হ্রাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার কারণ হতে পারে। জি৭-এর প্রস্তাবিত শুল্কগুলি রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির বৃহত্তর মার্কিন কৌশলের একটি অংশ। এই কৌশলটি সেইসব দেশগুলিকে লক্ষ্য করে যারা রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। আসন্ন জি৭ বৈঠকের ফলাফল এই জটিল বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি. অনন্ত নাগেশ্বরন সতর্ক করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত উচ্চ শুল্ক ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ০.৫% থেকে ০.৬% হ্রাস করতে পারে। এই শুল্কগুলি ভারতের রপ্তানি প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত করলেও, ভারতের প্রবৃদ্ধি মূলত অভ্যন্তরীণ ভোগ দ্বারা চালিত হয়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে শুল্কের প্রভাব সীমিত হতে পারে। ভারত সরকার পণ্যের উপর আরোপিত শুল্কের প্রভাব কমাতে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) সংস্কারের মতো নীতিগত ব্যবস্থাগুলি খতিয়ে দেখছে। এই ধরনের সংস্কারগুলি ব্যয় দক্ষতা এবং ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতামূলকতা উন্নত করার মাধ্যমে ভারতের জিডিপি ০.২% থেকে ০.৩% বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে।
উৎসসমূহ
India News, Breaking News, Entertainment News | India.com
Kyiv Independent
CNBC
PBS News
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
