পুতিন-ট্রাম্প বৈঠক: ইউক্রেন সংঘাতের কূটনৈতিক চাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা
সম্পাদনা করেছেন: Tatyana Hurynovich
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই সম্ভাব্য বৈঠকটি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এটি ২০১৯ সালের পর তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হতে পারে। এই উদ্যোগটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে অগ্রগতি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে। ক্রেমলিনের একজন কর্মকর্তা, ইউরি উশakov, জানিয়েছেন যে হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে আলোচনার সময় এই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মস্কো আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি বৈঠকের ব্যাপারে "বেশ ইতিবাচক মনোভাব" পোষণ করছে বলে জানা গেছে।
পুতিন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠকের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তবে তিনি বলেছেন যে এমন বৈঠকের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। অতীতে ক্রেমলিন ইঙ্গিত দিয়েছে যে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তখনই হওয়া উচিত যখন তাদের প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কাছাকাছি থাকবে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রান্তিক করে ফেলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউরোপীয় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন এবং ইউক্রেনের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠকের সম্ভাবনা ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে। রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ক্রেমলিন ট্রাম্পের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে কূটনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে, যেখানে পুতিন ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়ার অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করতে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে এই সুযোগ ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই ধরনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রান্তিক করে ফেলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং তারা যেকোনো শান্তি আলোচনায় ইউরোপীয় দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন, যা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। এই পরিস্থিতি ইউক্রেন যুদ্ধের একটি জটিল কূটনৈতিক পর্যায় নির্দেশ করে, যেখানে বিভিন্ন পক্ষের নিজস্ব স্বার্থ এবং কৌশল পরিলক্ষিত হচ্ছে।
উৎসসমূহ
The Star
Axios
AP News
Financial Times
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
