আর্টেমিস চন্দ্র দক্ষিণ মেরু মিশনের জন্য কলোরাডো রকিজে নাসার নভোচারী প্রশিক্ষণ
সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17
নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে, নভোচারী ম্যাথিউ ডমিনিক এবং মার্ক ভ্যান দেই গত ২৬শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে কলোরাডো রকি পর্বতমালার রুক্ষ পরিবেশে চন্দ্র অবতরণ মহড়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভবিষ্যৎ মিশনের জন্য নভোচারীদের প্রস্তুত করা। কলোরাডো রকি পর্বতমালার ভূখণ্ড চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি এলাকার মতো হওয়ায় এটিকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। এখানকার পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, যেমন দৃশ্যমান বিভ্রম এবং উড্ডয়নের পরিবেশ, নভোচারীদের অবতরণ কৌশল এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি কার্যকর মহড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
আর্টেমিস কর্মসূচির লক্ষ্য হলো চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল অন্বেষণ করা, কারণ এই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত খাদগুলিতে জলীয় বরফের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বরফ ভবিষ্যতে মানব অভিযান, যেমন মঙ্গল গ্রহে যাত্রা, তার জন্য জল, অক্সিজেন এবং জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় সম্পদ সরবরাহ করতে পারে। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সফল সমাপ্তি নভোচারীদের প্রস্তুতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে জলীয় বরফের সন্ধান ভবিষ্যৎ চন্দ্র অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বরফ কেবল পানীয় জল এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেনই সরবরাহ করবে না, বরং হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে বিভক্ত করে রকেট জ্বালানিও তৈরি করতে পারবে। এটি মঙ্গল গ্রহের মতো দূরবর্তী স্থানে অভিযানের পথ প্রশস্ত করবে। এই বরফ মহাকাশচারীদের বিকিরণ থেকে সুরক্ষা দিতেও সক্ষম।
এই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে, নভোচারীরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পার্বত্য অঞ্চলের কঠিন পরিবেশে অবতরণ মহড়া করেছেন। এই মহড়াটি তাদের চাঁদের পৃষ্ঠের কাছাকাছি অবতরণের সময় সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলির জন্য প্রস্তুত করেছে। প্রশিক্ষণে কলোরাডো আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের হাই-অলটিটিউড আর্মি ন্যাশনাল গার্ড এভিয়েশন ট্রেনিং সাইট (HAATS) ব্যবহার করা হয়েছে, যা নভোচারীদের দৃশ্যমান বিভ্রম, যোগাযোগে বাধা এবং দৃশ্যমানতার ঘাটতির মতো পরিস্থিতিগুলির মুখোমুখি হতে সাহায্য করে। এই প্রশিক্ষণটি নভোচারীদের যন্ত্রপাতির উপর নির্ভর করতে শেখায় যখন দৃশ্যমানতা কমে যায়।
নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির অধীনে, নভোচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবেন, যা প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর চাঁদে মানুষের প্রথম অবতরণ হবে। এই মিশনগুলি চাঁদের ভূতত্ত্ব এবং সম্পদ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান বাড়াবে এবং চাঁদে একটি টেকসই মানব উপস্থিতি স্থাপনের ভিত্তি তৈরি করবে। বর্তমানে, নাসার আর্টেমিস কর্মসূচি অগ্রগতি লাভ করছে এবং সংস্থাটি কঠোর প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে নভোচারীদের নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উৎসসমূহ
NASA
NASA Artemis Blog
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
