জিসু ও জায়েন মালিকের 'আইজ ক্লোজড': দুই ধারার সঙ্গীতের এক অভূতপূর্ব সংযোগের উন্মোচন

বিখ্যাত কে-পপ গোষ্ঠী BLACKPINK-এর সদস্য জিসু এবং প্রাক্তন ওয়ান ডিরেকশন তারকা জায়েন মালিক তাদের বহু প্রতীক্ষিত দ্বৈত সঙ্গীত 'আইজ ক্লোজড'-এর আনুষ্ঠানিক মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এই বিশেষ পরিবেশনাটি ২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, রাত ১২টা (ইএসটি) সময়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে উন্মোচিত হয়। এই যুগান্তকারী সঙ্গীতের মাধ্যমে দুই ভিন্ন ঘরানার শিল্পীর মিলন ঘটল, যা বিশ্ব সঙ্গীত জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি জিসুর একক কাজের বাইরে প্রথম কোনো পুরুষের সাথে সহযোগিতা।

'আইজ ক্লোজড' গানটির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন দ্য মনস্টার্স অ্যান্ড স্ট্রেঞ্জারজ, যারা পূর্বে জাস্টিন বিবারের 'ঘোস্ট'-এর মতো জনপ্রিয় গানে কাজ করেছেন। এই প্রযোজনা দলে আইজাইয়া তেজাদা এবং অ্যালেক্স হোপও ছিলেন, যারা গানটির সুর ও বাদ্যযন্ত্রে অবদান রেখেছেন। এই গানটি জিসুর একক ইপি 'অ্যামর্টেজ'-এর পরে তার প্রথম নতুন সঙ্গীত, যা তাকে পশ্চিমা সঙ্গীতের মূল স্রোতে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করেছে। অন্যদিকে, জায়েন মালিকের জন্য এটি তার ২০২৩ সালের অ্যালবাম 'রুম আন্ডার দ্য স্টারস'-এর পর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাবর্তন।

এই যুগলবন্দী নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল যখন জায়েন মালিক ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নিউ ইয়র্কে BLACKPINK-এর 'ডেডলাইন' বিশ্ব সফরে তার কন্যা খাইকে নিয়ে কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় তিনি BLACKPINK-কে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্টও করেন, যা ভক্তদের মধ্যে প্রথম ইঙ্গিত দেয় যে দুই তারকার মধ্যে কোনো সঙ্গীত সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকাশের ঠিক আগের দিন একটি সংক্ষিপ্ত টিজারে শিল্পীরা গানটির মূল কথা, “উই শুড ফল ইন লাভ উইথ আওয়ার আইজ ক্লোজড,” সুরে গেয়ে শোনান। এই গানের কথাগুলি গভীর সংযোগ এবং দুর্বলতার অনুভূতি প্রকাশ করে, যা জিসুর সুরেলা কণ্ঠের সাথে জায়েনের স্বতন্ত্র আর অ্যান্ড বি ধারার মিশ্রণে এক আবেগপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

এই সঙ্গীতের মুক্তি কেবল ভক্তদের মধ্যেই উত্তেজনা সৃষ্টি করেনি, বরং শিল্পীদের নিজস্ব যাত্রাপথেও এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জিসু বর্তমানে BLACKPINK-এর বিশ্ব সফরে ব্যস্ত আছেন। এই ধরনের আন্তর্জাতিক সংযোগ সঙ্গীতের সীমানা পেরিয়ে মানুষের মধ্যে ঐক্যের বার্তা বহন করে, যেখানে ভিন্নতার মধ্যেও একটি গভীর সুর খুঁজে পাওয়া যায়। এই সহযোগিতাটি সঙ্গীতের জগতে একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত স্থাপন করল যে, শিল্পীরা নিজেদের পরিচিত গণ্ডি পেরিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে শ্রোতাদের আরও গভীর অনুভূতির সাথে যুক্ত করতে পারেন।