শব্দ ব্যবহার করে গাঁজন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার নতুন গবেষণা
সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova
নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে যে সাদা শব্দের ব্যবহার বেকারি পণ্যের গাঁজন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। নিউজিল্যান্ডের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ ব্যবহার করে ইস্ট কোষের কার্যকারিতা বাড়ানো যায় এবং শর্করার ভাঙ্গন দ্রুততর করা যায়। এই উদ্ভাবনটি গাঁজন প্রক্রিয়াকে ২১ থেকে ৩১ ঘন্টা পর্যন্ত কমাতে সক্ষম। গুরুত্বপূর্ণভাবে, এই বর্ধিত গাঁজন গতি চূড়ান্ত পণ্যের স্বাদ বা গন্ধে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।
এই প্রযুক্তিটি শুধু রুটি নয়, দই এবং কিমচির মতো অন্যান্য গাঁজনযুক্ত খাদ্য উৎপাদনেও সম্ভাবনাময় প্রয়োগ দেখিয়েছে। অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের ডঃ প্যারিস আদাডি-র নেতৃত্বে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল। তার গবেষণায় দেখা গেছে যে শব্দের ব্যবহার ইস্টের বৃদ্ধিকে উন্নত করে, কারণ এটি ইস্ট কোষগুলোকে সাসপেনশনে বেশি পরিমাণে ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি ইস্টের বিপাকীয় পথগুলোকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে শর্করার ব্যবহার এবং অ্যালকোহল উৎপাদন দ্রুততর হয়।
এই আবিষ্কারটি বেকারি শিল্পের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এটি উৎপাদন দক্ষতা বাড়াতে এবং একই সাথে পণ্যের গুণমান বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা রুটি উৎপাদনের বাইরেও প্রসারিত, যা ওয়াইন এবং অন্যান্য গাঁজনযুক্ত পানীয় তৈরিতেও বিপ্লব ঘটাতে পারে। গবেষকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে শব্দের ব্যবহার শুধুমাত্র গাঁজন প্রক্রিয়াকেই দ্রুততর করে না, এটি পণ্যের স্বাদ এবং গন্ধের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি বেকারি শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা আরও দ্রুত এবং উন্নত মানের পণ্য উৎপাদনে সহায়ক হবে। এই গবেষণাটি ফুড রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
উৎসসমূহ
GIZMODO JAPAN(ギズモード・ジャパン)
University of Otago Food Science News
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
