কেরালার স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে সকালের নাস্তা: শিক্ষার প্রসারে এক নতুন দিগন্ত
সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova
কেরালার কাসারগোডে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগের সূচনা হয়েছে, যেখানে সমস্ত উচ্চ প্রাথমিক ও নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মসূচিটি নিশ্চিত করে যে কোনও শিশু যেন ক্ষুধার্ত অবস্থায় স্কুলে না আসে, যা বিশেষ করে উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে। এই মহৎ উদ্যোগটি পঞ্চায়েত দ্বারা অর্থায়ন করা হচ্ছে এবং প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে।
প্রতিদিনের মেনুতে ইডলি-সাম্বার এবং উপমার মতো পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করা হয়, কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিদিন দুধ ও ডিমও সরবরাহ করা হয়। এই পদক্ষেপটি স্কুলছুটের হার কমাতে এবং শিশুদের পুষ্টির মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সকালের নাস্তার মতো কর্মসূচিগুলি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ এবং শেখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভারতের মতো দেশে, যেখানে অনেক শিশুর জন্য বাড়িতে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ, সেখানে এই ধরনের উদ্যোগগুলি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলিতেও অনুরূপ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের স্কুলে উপস্থিতি বাড়াতে এবং সামগ্রিক শিক্ষাগত ফলাফল উন্নত করতে সহায়ক হয়েছে। এই কর্মসূচিগুলি কেবল শিশুদের পুষ্টির চাহিদাই পূরণ করে না, বরং তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহও বাড়িয়ে তোলে। কেরালার এই উদ্যোগটি রাজ্যের সামগ্রিক শিশু পুষ্টি এবং শিক্ষার লক্ষ্যগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এটি অন্যান্য স্থানীয় সংস্থাগুলিকেও অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ধরনের পদক্ষেপগুলি শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে। পুষ্টিকর খাবার কেবল শারীরিক বিকাশই নয়, মানসিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হতে সাহায্য করে। এই কর্মসূচিটি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং শিশুদের জন্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
উৎসসমূহ
The Hindu
Onmanorama
Sarkari Yojana
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
