এআই-চালিত চ্যাটবটগুলি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য একটি সহজলভ্য মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যা ২৪/৭ উপলব্ধতা এবং বেনামী পরিষেবা প্রদান করে। এই সিস্টেমগুলি, যেমন ChatGPT এবং Woebot, মানসিক স্বাস্থ্যের পরিষেবাগুলিতে অ্যাক্সেস করার ক্রমবর্ধমান অসুবিধার সমাধানে তাৎক্ষণিক আবেগীয় সহায়তা প্রদান করে।
এআই চ্যাটবট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই বিদ্যমান। এগুলি দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রদান করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য তাদের আবেগ ভাগ করে নেওয়ার একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে, যা সম্ভবত একাকীত্ব এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। তবে, অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে একাকীত্ব এবং মানসিক নির্ভরতা বাড়তে পারে, সেইসাথে বাস্তব-বিশ্বের সামাজিক মিথস্ক্রিয়াও হ্রাস হতে পারে।
নৈতিক বিবেচনা এবং নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মানব তত্ত্বাবধান এবং ডেটা গোপনীয়তার উপর জোর দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং মানসিক স্বাস্থ্য ইউরোপ (MHE)-এর মতো সংস্থাগুলি নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে, ব্যবহারকারীর ডেটা রক্ষা করতে এবং অ্যালগরিদমে পক্ষপাত প্রতিরোধ করতে বিধিবিধানের পক্ষে সমর্থন জানাচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হল এআই-এর সুবিধাগুলি এবং মানব-কেন্দ্রিক যত্নের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।
বাংলাদেশেও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য এআই চ্যাটবটের ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি তাদের জন্য সহজেই উপলব্ধ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য একটি মাধ্যম। তবে, ডেটা সুরক্ষা এবং নৈতিক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।