সামারিন্ডায় আন্তর্জাতিক মানের সমন্বিত বিদ্যালয় চালু
সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova
পূর্ব কালীমান্তানের সামারিন্ডায় একটি নতুন আন্তর্জাতিক মানের সমন্বিত বিদ্যালয় চালু হয়েছে, যা জাতীয় এবং কেমব্রিজ উভয় পাঠ্যক্রমকে একত্রিত করে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে শিক্ষামন্ত্রী আব্দুল মু'তি আনুষ্ঠানিকভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। লোয়া বাকুং-এ ১.৮ হেক্টর জমির উপর নির্মিত এই বিদ্যালয়টি এসডি নেগেরি ০২৮, এসএমপি নেগেরি ১৬, এবং এসমা প্রেস্টাসি – এই তিনটি শিক্ষা স্তরকে এক ছাদের নিচে এনেছে। প্রায় ৭০ বিলিয়ন রুপি আঞ্চলিক বাজেটে এই অত্যাধুনিক শিক্ষা কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে।
এই সমন্বিত শিক্ষা কেন্দ্রে আধুনিক গবেষণাগার, ডিজিটাল শিক্ষার জন্য বিশেষ কক্ষ, একটি মাল্টিমিডিয়া লাইব্রেরি এবং উন্নতমানের ক্রীড়া ও শিল্পকলা সুবিধা রয়েছে। এখানকার বিশেষত্ব হলো দ্বিভাষিক শিক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে ইন্দোনেশিয়ার 'মেরডেকা বেজার' (Merdeka Belajar) পাঠ্যক্রমের সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কেমব্রিজ পাঠ্যক্রমের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। কেমব্রিজ পাঠ্যক্রম বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং বিশ্ব নাগরিকত্ব বিকাশে সহায়ক হিসেবে পরিচিত। এই পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের গভীর জ্ঞান অর্জনে এবং ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তোলে।
সামারিন্ডা সিটি সরকার এই বিদ্যালয়টিকে বিশ্বমানের শিক্ষার একটি অগ্রণী মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে। মেয়র আন্দি হারুন এবং ডেপুটি মেয়র সাইফুদ্দিন জুহরি ২০২৫ সালের ২৪শে জুলাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন এবং কিছু ছোটখাটো উন্নতির পরামর্শ দেন। মেয়র হারুন আশা প্রকাশ করেন যে এই বিদ্যালয়টি কেবল একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বই নয়, বরং সুদৃঢ় চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার্থী তৈরি করবে, যা ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
এই সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে শিখবে, যা তাদের জ্ঞানকে আরও গভীর ও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে। 'মেরডেকা বেজার' পাঠ্যক্রমের নমনীয়তা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও সামর্থ্য অনুযায়ী শেখার সুযোগ করে দেয়, যা তাদের নিজস্ব প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সহায়ক। অন্যদিকে, কেমব্রিজ পাঠ্যক্রমের আন্তর্জাতিক মান শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করে এবং তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটায়। পূর্ব কালীমান্তানের মতো একটি উন্নয়নশীল অঞ্চলে এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংযোজন, প্রদেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগটি কেবল সামারিন্ডা নয়, বরং সমগ্র ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং বিশ্বমানের যোগ্যতাসম্পন্ন নাগরিক তৈরিতে সহায়ক হবে।
উৎসসমূহ
Antara News
Kaltim Post
Sapos
PusaranMedia.com
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
